(প্রেস বিজ্ঞপ্তি)
ঢাকা, সোমবার, ০৩ এপ্রিল ২০২৩ :
জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জনবন্ধু গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি বলেছেন, নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করেছে তিনশো আসনেই ব্যালটে নির্বাচন হবে। এটা আমাদের দাবি ছিলো। ব্যালটে নির্বাচন মানেই সুষ্ঠু নির্বাচনের নিশ্চয়তা নয়। এটা সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য একটি পদক্ষেপ মাত্র। এতদিন যারা নির্বাচন করেছেন তারা জানিয়েছেন, নির্বাচন সুষ্ঠু হবে কী হবে না তা সরকারের ওপর নির্ভর করে। কারা নির্বাচিত হবেন তাও সরকারের পক্ষ থেকে নির্ধারণ করা হয়। এমন ধারণা সাধারণ মানুষের। সরকার নির্বাচন ব্যবস্থা নিজের আয়ত্তে রেখেই নির্বাচন করছে। যে সরকার নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে সেই সরকার যদি নির্বাচন করে তাহলে তাকে কখনোই পরাজিত করা সম্ভব নয়। নির্বাচন ব্যবস্থার পরিবর্তন করতে হবে। সরকার ক্ষমতায় থেকেও যেনো নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করতে না পারে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত আমরা দেখতে চাচ্ছি। জনগণের প্রত্যাশা, দলীয় নেতা-কর্মীদের মূল্যায়ন দেখে পার্টির শীর্ষ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ সিদ্ধান্ত নেবেন আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যাপারে। ঢাকা-১৩ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে প্রাথমিক ভাবে শফিকুল ইসলাম সেন্টুর নাম ঘোষণা করেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান। শফিকুল ইসলাম সেন্টু জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য, ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক এবং ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এর ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের বারবার নির্বাচিত কাউন্সিলর।
আজ বিকেলে মোহাম্মদপুরের প্রিয়াংকা কমিউনিটি সেন্টারে জাতীয় পার্টি ঢাকা মহানগর উত্তর এর ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের এ কথা বলেন
এ সময় জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের আরো বলেন, আমরা প্রায় প্রতিটি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি। সিটি কর্পোরেশনে আমরা অংশ নেবো। এতে নির্বাচন সুষ্ঠু হচ্ছে কিনা তা আমাদের ধারণা হয়, সাধারণ মানুষও জানতে পারে। একতরফা নির্বাচন হলে বোঝা যায় না নির্বাচন সুষ্ঠু হচ্ছে কিনা। আবার, সরকার বলতে পারে বিরোধীরা নির্বাচনে আসেনি। তাই প্রতিটি নির্বাচনেই আমরা জয়ের জন্য নির্বাচন করছি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে গোলাম মোহাম্মদ কাদের আরো বলেন, আমরা গণমাধ্যমের পূর্ণ স্বাধীনতায় বিশ্বাস করি। সংবাদ প্রকাশে ভুল হলে তার বিচার হবে। কিন্ত শেষ রাতে ১০ থেকে ১৫ জন মানুষ একজন সাংবাদিককে তুলে নিয়ে যাবে। দীর্ঘ সময়ে সেই সাংবাদিকের খোঁজ পাওয়া যাবে না তা সভ্য সমাজে মেনে নেয়া যায় না। প্রেস কাউন্সিলে যেতে পারতো কিন্ত ভয়ার্ত পরিবেশ সৃষ্টি করে একজন সাংবাদিককে তুলে নিয়ে যাবে তা কখনোই গ্রহনযোগ্য হতে পারে না। এটি এখন বিচারাধীন বিষয়, তাই এ প্রসঙ্গে আর আলোচনার অবকাশ নেই। আমরা এই ঘটনার প্রতিবাদ জানাই। এছাড়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সংশোধন দরকার। এভাবে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন থাকলে দেশে গণমাধ্যমের কোন ভুমিকা থাকবে না।
এসময় গোলাম মোহাম্মদ কাদের আরো বলেন, দেশের মানুষ দরিদ্র থেকে হতদরিদ্র হচ্ছে। কিন্ত মুষ্টিমেয় মানুষ ধনী থেকে অতি ধনী হচ্ছে। এটা অবিচার, এর শেষ কোথায় আমরা জানি না। মানুষের আয় বাড়ছে না কিন্ত জিনিস পত্রের দাম বাড়ছে প্রতিদিন। বেশির ভাগ মানুষ যেন মাটির নিচে তলিয়ে যাচ্ছে আর একটি গোষ্ঠী মানুষ যেন আকাশে ভাসছে। এমন সমাজ আমরা চাই না। তিনি বলেন স্বর্ণের ভরি হয়েছে এক লক্ষ টাকা। স্বর্ণ ও ডলার সারা বিশ্বে বিক্রি হয়। স্বর্ণের দাম দ্বিগুণ হয়ে গেছে। যিনি ৫০ হাজার টাকায় এক ভরি স্বর্ণ কিনতে পারতেন তাকে কিনতে হচ্ছে এক লক্ষ টাকায়। এর অর্থ যার আয় পঞ্চাশ হাজার টাকা ছিলো তার আয় কমে গেছে অর্ধেক। স্বর্ণের ও ডলারের দাম বাড়তে থাকবে। সরকারের হাতে টাকা নেই, ব্যাংকগুলো তারল্য সংকটে ভুগছে। রফতানি ব্যয় হচ্ছে আমদানি থেকে আয়ের চেয়ে বেশি। এর সাথে বিভিন্ন প্রকল্পের ঋণ, বিদ্যুতের অনিয়মের ঋণ যোগ হয়ে প্রতিদিন দেশের আয় কমছে। আমাদের দেশের রিজার্ভ কমে যাচ্ছে। সরকার এখন আমদানি কমিয়ে দিয়েছে। এভাবে ডলারের দাম বাড়তে থাকলে মানুষের আয় আরো কমে যাবে। হতদরিদ্র মানুষের না খেয়ে মারা যাবার অবস্থা হতে পারে। সরকার ব্যাংক থেকেও ঋণ করতে পারছে না, ব্যাংকগুলো তারল্য সংকটে ভুগছে। কারণ, ব্যাংক থেকে লক্ষ-কোটি টাকা পাচার হয়ে গেছে।
ঢাকা মহানগর উত্তর জাতীয় পার্টির উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিলে ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক ও প্রেসিডিয়াম সদস্য আলহাজ্ব শফিকুল ইসলাম সেন্টুর সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম পাঠানের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন, জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমীন হাওলাদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য সাহিদুর রহমান টেপা, এসএম ফয়সাল চিশতী, মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- প্রেসিডিয়াম সদস্য – মীর আব্দুস সবুর আসুদ, এটিইউ তাজ রহমান, এডভোকেট মোঃ রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, আলমগীর সিকদার লোটন, জহিরুল ইসলাম জহির, মোস্তফা আল মাহমুদ, মাননীয় চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা শেরীফা কাদের এমপি, মনিরুল ইসলাম মিলন, আমানত হোসেন আমানত, হেনা খান পন্নী, বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট মমতাজ উদ্দিন, মাহবুবুর রহমান লিপ্টন, মনির আহমেদ, বীরমুক্তিযোদ্ধা তৈয়বুর রহমান, খলিলুর রহমান খলিল, ভাইস-চেয়ারম্যান মোঃ আরিফুর রহমান খান, ইয়াহ ইয়া চৌধুরী, এইচ এম শাহরিয়ার আসিফ, জসীম উদ্দিন ভূঁইয়া, সাবেক ভাইস-চেয়ারম্যান লুৎফর রেজা খোকন, যুগ্ম মহাসচিব- গোলাম মোহাম্মদ রাজু, মোঃ শামসুল হক, ফখরুল ইসলাম শাহজাদা, সৈয়দ মঞ্জুর হোসেন মঞ্জু, সাংগঠনিক সম্পাদক নির্মল চন্দ্র দাস, মোঃ নাসির উদ্দিন সরকার, মোঃ হেলাল উদ্দিন, কাজী আবুল খায়ের, মাখন সরকার, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য এম এ রাজ্জাক খান, আহাদ ইউ চৌধুরী শাহিন, গোলাম মোস্তফা, যুগ্ম সম্পাদক – নূরুল হক নুরু, আখতার হোসেন দেওয়ান, এম এ সোবহান, সমরেশ মন্ডল মানিক, গোলাম মোস্তফা, হাফেজ ক্বারী ইসারুহুল্লা আসিফ, কেন্দ্রীয় ও মহানগর উত্তরের নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন – শফিকুল ইসলাম দুলাল, আব্দুস সাত্তার, সোহেল রহমান, রেজাউল করিম, সোলায়মান সামি, ইঞ্জিনিয়ার এলাহান উদ্দিন, নজরুল ইসলাম সরদার, মোহাম্মদ আলী, আলমাস উদ্দিন, মাহফুজ মোল্লা, সাহিন আরা সুলতানা রিমা, ড.নাসির উদ্দিন বকুল, মোঃ আলমগীর হোসেন, ইব্রাহিম, মেহেদী হাসান শিপন, আব্দুর রহিম, মাহমুদ হাসান আলাল, রিয়াজ আহমেদসহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
খন্দকার দেলোয়ার জালালী
জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান এর
প্রেস সেক্রেটারি-০২।